বাঁকুড়ার কোতুলপুরে হিমঘর শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠক করলেন মন্ত্রী শ‍্যামল সাঁতরা

1st June 2020 বাঁকুড়া
বাঁকুড়ার কোতুলপুরে হিমঘর শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠক করলেন মন্ত্রী শ‍্যামল সাঁতরা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  কোতুলপুরের নেতাজি মোড়ে কোতুলপুর ব্লকের সমস্ত হিমঘরের শ্রমিকদের নিয়ে মিটিং করলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা । যেসকল হিমঘরের শ্রমিক ভাইয়েরা তারা একসাথে গাদাগাদি করে কাজ করছেন তাদেরকে করনা বিষয়ক সর্তকতা করা হয় । এর পাশাপাশি যে সকল পরিযায়ীশ্রমিক বাইরে থেকে নিজের রাজ্যে ফিরে এসেছেন তাদেরকে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে কাজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা । সূত্র মারফত জানা যায় শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয় যাদের ছেলে মেয়েরা বাইরে কাজ করতে গিয়েছিলেন তারা ফিরে আসার পর তাদের কাজ যাতে সুনিশ্চিত থাকে সে ব্যাপারেও মন্ত্রীকে জানান। উল্লেখ থাকে যে বিশেষ সূত্রে খবর পাওয়া যায় যেসকল পরিযায়ী শ্রমিক তারা সদ্য নিজের জেলায় ফিরেছে তাদের বাড়ির লোক যারা ঐ সমস্ত হিমঘরে কাজ করেন তাদেরকে কাজে না আসার জন্য বলা হয়। ফলতো তারা আশঙ্কার মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন যদি তাদের কাজ হারাতে হয় । অনেক পরিযায়ী শ্রমিক যারা রাজ্যে ফিরে হোম কোয়ারেন্টাইন বা বাড়িতে আছেন তাদের বাড়ির লোক দের কাজ হারানোর সংশয় দূর করতে তড়িঘড়ি আলোচনায় বসেন । শ্রমিকরা ১০০ দিনের কাজের মধ্য দিয়ে বাড়ির আশেপাশে গাছ লাগানো নালা পরিষ্কার ইত্যাদি কাজ তারা করতে পারবেন। ১০০ দিনের কাজ দেওয়া ছাড়াও প্রতি মাসে মাসে এই ধরনের আলোচনা সভা করার কথা বলেন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা । আজকের এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আইএনটিটিইউসির ব্লক সভাপতি শওকত আলী কোতুলপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সমির বাগ অশোক মন্ডল সহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।